স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪২
দেশের ৬৪ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের একদল ক্রিকেটার আজ ১৬ দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন। ক্রিকেটারদের দাবির বেশিরভাগই মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে।
ক্রিকেটারদের ১৬ দাবির মধ্যে অন্যতম হলো- নিয়মিত লিগ আয়োজন করা, জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রত্যেক বিভাগে দ্বিতীয় সারির আরেকটা দল গঠন করে লিগ আয়োজন করা, তিন বিভাগ অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৩০ জন করে ক্রিকেটার মিলে মোট ৯০ ক্রিকেটারকে বিসিবির বেতনের আওতায় আনা, আম্পায়ারিং ও পিচের মান ভালো করা, ঢাকা লিগের প্রথম অনলাইন সম্প্রচার করা, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটের চূড়ান্ত পর্বে তিন দিনের ম্যাচ চালু করা, রেজিস্টার্ড কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়লে বোর্ড তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিবে ইত্যাদি।
প্রথম বিভাগের ক্রিকেটার রিয়াজুল রিয়াদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরেই অনিয়ম হয়ে আসছে। যদি বিসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করে, তাহলে আমরা আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা বিসিবিকে প্র্যাকটিসের সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর কথাও বলে এসেছি। এখানে দেখেন যখন বিপিএল খেলা হয়, তখন একই একাডেমি মাঠে ছয়-সাতটা দল অনুশীলন করে। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলে কিন্তু এমন পাঁচটা একাডেমি করতে দিতে পারে বিভিন্ন জায়গায়। যদি মাঠের সংখ্যাও বাড়ে, তাহলেও আলহামদুলিল্লাহ।’
আরেক ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।’
ক্রিকেটারদের এই দাবিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দাবিকেই যৌক্তিক মনে করছেন বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সামর্থ আনুযায়ী এসব দাবি পূরণ করা হবে বলেছেন তিনি।
নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড কী করলে আমার লাভ হবে বা তোমার লাভ হবে, সেটা নয়…কী করলে ক্রিকেটের লাভ হবে, এখন সেটা দেখা দরকার। সেটার জন্য যা যা করা দরকার, ক্রিকেট বোর্ড সামর্থ্য অনুযায়ী সেই জিনিসটা করবে।’
তিনি বলেন, ‘জেলা ক্রিকেট চালু করা, জেলা পর্যায়ে একটা উইকেট থাকা শুরু করে প্লেয়ারদের ওয়েলফেরার…প্রতিযোগিতা বাড়ানোর কথা যদি বলি, সিস্টেমেটিক্যালি সবখানে যেন ফেয়ারলি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশনের জন্য সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, এসব ব্যাপার অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ড দেখবে। আমরাও চোখ রাখব। তোমরা একটা ব্যাপার নিশ্চিন্ত থাকতে পারো, ক্রিকেট বোর্ড তার সামর্থ্য অনুযায়ী তোমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তোমরা ক্রিকেট খেলে যেন নিজেদের মেধাকে প্রেজেন্ট করতে পারো, নিজেদের মেধা অনুযায়ী যেন মূল্যায়ন হয় (সেটা দেখা হবে)। তোমাদের সব দাবি হয়তো এখনই পূরণ করা সম্ভব না–ও হতে পারে। তবে আমাদের ইচ্ছা থাকবে তোমরা তো বটেই, যেন ক্রিকেটও লাভবান হয়।’
সারাবাংলা/এসএইচএস