হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে কাজ করছিলেন ওই চিকিৎসক। রাত দুইটার দিকে বাইরে থেকে খাবার এনে দুজন বন্ধুর সঙ্গে নৈশভোজ সারেন তিনি। এরপর জরুরি ভবনের চারতলার একটি সেমিনার কক্ষে বিশ্রাম নিতে যান। সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে তাঁর মরদেহ দেখতে পান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ চিকিৎসকেরা ছুটে আসেন। তাঁরা মরদেহ দেখে অভিযোগ করেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শুরু হয় চিকিৎসকদের আন্দোলন। তাঁরা নিরপেক্ষ ময়নাতদন্ত ও হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। একই সঙ্গে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দেন। এই ডাকে সাড়া দেয় কলকাতার মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, পিজি হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতালসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।