সিরিজে সমতা আনতে হলে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতের প্রয়োজন ছিল জয়। কাঙ্ক্ষিত সেই জয় তো দূরে থাক, শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পায়নি রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। লঙ্কানদের কাছে ভারতের হারের ব্যবধান … রান।
ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুবমান গিলদের কাছে নাকানিচুবানি খাওয়া লঙ্কানদেরও ছিল জয়টা খুবই প্রয়োজন। প্রথম ম্যাচ টাই হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ জয় পায় চারিথ আসালাঙ্কা-কুশল মেন্ডিসরা। তৃতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজ নিজেদের, এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। ওয়ানডে সিরিজ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের প্রতিশোধ তুললো স্বাগতিকরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আসালাঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার, যতটা সম্ভব বড় টার্গেট দিয়ে ভারতকে অল্প রানের মধ্যেই আটকে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে শুরুটা ভালো পায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে ৮৯ রান তোলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্দো। ৬৫ বলে ৪৫ রান করা নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল।
আরেক ওপেনার আভিষ্কা ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রিয়ান পরাগের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ১০২ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ৯৬ রান। তিনে নামা কুশলও পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৮২ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
টপ অর্ডারের এনে দেওয়া ভিত কাজে লাগাতে পারেননি আসালাঙ্কা-সাদিরা সামারাবিক্রমারা। তবে ১৯ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন কামিন্দু মেন্ডিস। তাতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
ভারতের হয়ে ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন রিয়ান পরাগ।
২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিলেন রোহিত ও গিল। কিন্তু দুজনের কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ১৪ বলে গিল ৬ রান করে ফিরলে ভাঙে ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি। রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ৩৫ রান।
তিনে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন কোহলিও। তিনিও ফিরেছেন বড় ইনিংস খেলতে না পারার হতাশা নিয়ে। রিশাভ পান্থ-শ্রেয়াস আইয়াররা তেমন কিছুই করতে পারেননি। ওয়ানডে অভিষেকে ১৩ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলেছেন পরাগ।
শেষের দিকে ২৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলে ভারতের হারের ব্যবধান কমিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫.১ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন দুনিথ ভেল্লালাগে।