সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে বাংলাদেশের জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। জয় তো অনেক দূরের কথা, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ খুঁইয়েছে টাইগাররা।
গত ম্যাচে শুরুটা ভাল করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সৌম্য সরকার। এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন টাইগার ওপেনার। প্রথম বলেই ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন সৌম্য।
লিটন কুমার দাশের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম শুরুটা ভাল করেছিলেন। শান্তর সাথে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তামিমও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। ১৫ বলে ১টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
উইকেটে এসে শান্তকে সাথে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন গত ম্যাচে ফিফটি করা তাওহীদ হৃদয়। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের দারুণভাবে সামাল দিচ্ছিলেন দুজনেই। এরপরেই ঘটে ছন্দপতন, রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন শান্ত। তার আগে ৩৪ বলে করেন ৩৬ রান। শান্ত ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হৃদয়। ডানহাতি এ ব্যাটার করেন ২১ বলে ২৫ রান। এদিন দ্রুত ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
বাংলাদেশকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনিও পারেননি ম্যাচ শেষ করে আসতে। সাকিব ২৫ বলে ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। শেষদিকে রিশাদ হোসেন চেষ্টা করেও পারেননি দলকে জেতাতে।
এর আগে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহুর্তও দেরি করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার বোলাররা উইকেট নিতে না পারলেও খুব একটা হতাশও করেননি। বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন শরীফুল ইসলাম-তানজিম সাকিবরা।
এদিন উইকেট থেকে দারুণ সুইং আদায় করেছেন শরীফুল। বিশেষ করে টেইলরের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছিলেন বাঁহাতি এ পেসার। দারুণ লাইন-লেংথে বল করেছেন সাকিবও। তবে উইকেদের দেখা পাননি দুজনের একজনও। পঞ্চম ওভারে মু্স্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন শান্ত।
প্রথম বলেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরী করেছিলেন ফিজ। কিন্তু তার আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে উইকেট নিতে পারেননি সাকিব আল হাসানও।
পাওয়ারপ্লে শেষেই বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন রিশাদ হোসেন। ভয়ংকর হয়ে ওঠা স্টিভেন টেইলরকে ফেরান তিনি। এর পরের বলেই আন্দ্রেস গাউসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে হ্যাটট্রিক করতে পারেননি রিশাদ।
এরপর অ্যারন জোন্সকে সাথে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মোনাঙ্ক প্যাটেল। তবে দুজনের কেউই পারেননি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে জোন্স মুস্তাফিজের বলে আউট হলে ভাঙে ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন রিশাদ। ২ উইকেট নিতে শরীফুল খরচ করেছেন ৪ ওভারে ২৯ রান। মুস্তাফিজ শিকার করেছেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট নিতে পারেননি সাকিব।