পুলিশ জানায়, কয়েক আগে টেকনাফ থেকে শিশুটিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় রাখা হয়। পুলিশ হানা দিলে সেখান থেকে শিশুকে নেওয়া হয় মহেশখালীর কালারমারছড়ার গহিন পাহাড়ে। সেখানে পুলিশ অভিযান শুরু করলে শিশুকে নেওয়া হয় কুমিল্লার লালমাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। এর মধ্যে মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা পরিশোধের কথা বলে পুলিশ কৌশলে গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লার লালমাই এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা ফেরত আনাসহ অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের ২২ দিন পর শিশুকে ফেরত পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন মা নুরজাহান বেগম। পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নুর জাহান বলেন, টেকনাফের মানুষ অপহরণ আতঙ্কে ভুগছেন। শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে সাহস পাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ অপহরণের শিকার হচ্ছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহৃত পরিবারের তথ্য বলছে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।