তিমুর বলেন, ‘আমরা যতবারই একই জায়গায় আঘাত করি না কেন, তারা (রুশ বাহিনী) আবার তা পূর্ণ করে ফেলে। তাদের মধ্যে ভয়ডর নেই।’
প্রতিটি ড্রোন চালানো, নিশানা নির্ধারণ এবং তা ধ্বংস করা একটি ধারাবাহিক কাজ। প্রতিটি ড্রোনের পেছনে খরচ হয় প্রায় ৫০০ ডলার। তবে এ খরচের বিনিময়ে যে ফল পাওয়া যায়, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
তিমুর বলেন, ড্রোন ব্যবহার করে তাঁরা শত্রুপক্ষের একটি এস-৩৫০ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ধ্বংস করেছিলেন। এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মূল্য ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, তাদের ড্রোন যেখানে মোতায়েন থাকে, তার ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে শত্রুপক্ষের কোনো সেনা লুকিয়ে থাকতে পারে না। রুশ বাহিনীও ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
খেরসনের উপকণ্ঠে বরফে আচ্ছাদিত একটি মাঠে পাইলটদের ড্রোন চালানোর অনুশীলন করতে দেখা গেল। অনুশীলনে ব্যবহার করা এসব ড্রোনের নিচে গ্রেনেডের জায়গায় প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে রাখা হয়।
সেনারা বলছেন, ড্রোন পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে মাত্র ১৪ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন। ইউক্রেন সরকার দেশের জনগণকে বিনা মূল্যে এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য বাড়িতে বসে ড্রোন তৈরির ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
ড্রোন কমান্ডার স্টিচ এ যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহারের গুরুত্ব কতটা, তা ব্যাখ্যা করেন।
স্টিচ বলেন, ‘আমরা এখন প্রযুক্তির লড়াইয়ে নিযুক্ত আছি। এটা হলো অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা: কার আগে কে কী উদ্ভাবন করবে, কে বেশি চমৎকার কিছু তৈরি করতে পারবে।’
স্টিচ মনে করেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় উড়োজাহাজের ব্যবহার ছিল, আর এখন হচ্ছে ড্রোন যুদ্ধ। আগামী দুই দশক যেকোনো যুদ্ধের মোড় পাল্টাতে এই ড্রোনই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।