বিজেপিকে হারানোর তাগিদ এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বিহারের আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোট নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে একটা সমাধান সূত্রে পৌঁছেছেন। তাতে ভাবা হয়েছে, সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে জেডি (ইউ) ও আরজেডি লড়বে ১৬টি করে মোট ৩২ কেন্দ্রে। বাকি ৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেস লড়বে ৫টিতে, সিপিআই (এমএল) ৩টিতে। এই সূত্রে কিছুটা আপত্তি জানিয়েছে জেডি (ইউ)। ২০১৯ সালের ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে তারা ১৭ আসনে দাঁড়িয়ে ১৬টিতে জিতেছিল। কিষেনগঞ্জ কেন্দ্রটি তারা ৩৪ হাজার ভোটে হেরেছিল কংগ্রেসের কাছে। এবার ওই আসনটিও তারা দাবি করেছে। ওই দাবি কংগ্রেস মেনে নিলে জেডি (ইউ) ও আরজেডি দুই দলই ১৭টি করে কেন্দ্রে লড়বে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস দাঁড়াবে পাঁচটিতে, একটিতে সিপিআই (এমএল)। প্রাথমিক ফর্মুলা ১৬+১৬+৫+৩ গ্রহণযোগ্য না হলে ১৭+১৭+৫+১ যাতে হয়, সেই চেষ্টা করতে এনএসিকে সুপারিশ করেছে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখানে দেখার, সিপিআই (এমএল) একটি মাত্র কেন্দ্রে সন্তুষ্ট হয় কি না। গত ভোটে তারা বাম ফ্রন্টের শরিক হিসেবে ৪টি আসনে লড়েছিল। যদিও একটি আসনও পায়নি। রাজ্যের ৪০ আসনের মধ্যে বিজেপি–জেডিইউ জোট ৩৯টি জিতেছিল। কংগ্রেস একটি।
শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির প্রাথমিক কথাবার্তা চালানোর জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে এনএসি গঠন করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের নেতা মুকুল ওয়াসনিককে আহ্বায়ক করা হয় ওই কমিটির। অন্য সদস্যরা হলেন রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, উত্তর প্রদেশের নেতা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ ও রাজস্থানের নেতা মোহন প্রকাশ। ঠিক হয়, শরিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা যা ঠিক করবেন, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে অনুমোদিত হবে শীর্ষস্তরে। সেখানেই বিতর্কিত আসনের নিষ্পত্তি ঘটানো হবে।