অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

অপসংস্কৃতির হাত থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে উদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ প্রদান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে অপসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ চলচ্চিত্র শিল্পকে উন্নত করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালি, আমাদের ভেতর যে সৃষ্টিশীলতা রয়েছে, তা যেন সকলে ভুলেই গিয়েছিল তখন। একটি দেশের সমাজকে সচেতন করতে পারে চলচ্চিত্র। সিনেমা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি ইতিহাসও ধারণ করে রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় আমাদের অনেক সিনেমাহল ছিল। মানুষের বিনোদনের সুযোগ ছিল। ধীরে ধীরে সেসব বন্ধ হয়ে গেলে সিনেমা মালিকদের সাথে আমরা বসি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারেও আমরা গুরুত্ব দেই। সিনেমাহলগুলোকে উন্নত করার প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটা পূর্ণ অর্থায়ন তহবিলও গঠন করে বলে জানান তিনি।  

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের সিনেমা থেকে এ বছর ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার দেয়া হয়। এতে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনাকে (রওশন আর রোজিনা)।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার যুগ্মভাবে পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। তারা এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘শিমু’ সিনেমার জন্য। ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারও পেয়েছেন রুবাইয়াত হোসেন।  

পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান এবং পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা মিমি। ‘পরাণ’ ও ‘পাপ-পুণ্য’র জন্য তারা এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এস এম কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।

‘দেশান্তর’ সিনেমার জন্য খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক। শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন দিপু ইমাম, ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের জন্য।

/এএম

Scroll to Top