লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত সমস্ত ঘরোয়া টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। ঘরোয়া মৌসুম নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে। শ্রীলঙ্কায় চলছে এবারের এশিয়া কাপ আসর, এর মাঝেই এসএলসির এমন কঠিন সিদ্ধান্ত।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল। কিন্তু আনন্দের মাঝেও যে ঘন মেঘে আঁধার হল লঙ্কান ক্রিকেটাঙ্গন। গতকাল শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বোর্ড পরিচালিত সব ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বন্ধ করতে চলেছে তারা।
শ্রীলঙ্কায় এখন চলছে এশিয়া কাপের জমজমাট আসর। তবে শ্রীলঙ্কার নিজস্ব ক্রিকেট কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, দেশটির সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
মূল সমস্যা কাঠামো পুনর্গঠন। সেসব নিয়ে বিরোধ, মতের অমিল- ইত্যাদি হওয়ার ফলে, ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ রেখেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ২০২১ এর কথা স্মরণ করলে দেখা যায়, সে বছরও ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো পুনর্গঠন নিয়ে বোর্ডে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, “বোর্ড পরিচালিত সব ধরনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলমান মেজর ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট, এবং ‘বি’ স্তরের ইনভাইটেশনাল ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্টও এর আওতাধীন থাকবে।”
কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক গ্রেট লঙ্কান ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভা। এই কমিটির মতে, দুটি গ্রুপে ১৩ টি করে দল নিয়ে ৩ দিনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল। সেখানে এমন পরিকল্পনা ছিল যে, দুই গ্রুপের তলানিতে থাকা দু’টি করে মোট চারটি দল প্রথম দুই বছরের জন্য অবনমিত থাকবে। এরমধ্যে দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আরো জনপ্রিয় হতো বলে এই কমিটির মত ছিল।
কিন্তু এমন হলে অবনমিত থাকা দলগুলো আর তিন দিনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারত না। বিষয়টা নিয়ে অবনমিত থাকা বেশ কয়েকটি ক্লাব অভিযোগ জানায়৷ তবে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি সেসময়। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে গেস্টো ক্রিকেট ক্লাব যখন বিষয়টি আদালতে নিয়ে তোলে। যদিও আদালতের সিদ্ধান্তও সেই ক্লাবের পক্ষে যায়না। এরপর তাঁরা যায় শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে। এবার সমস্যা জটিল হয়।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নেওয়ার পর ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এক চিঠি দেয়। যেখানে বলা ছিল, বোর্ড কোনো নিয়ম পরিবর্তন করতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হবে। এরপর অবশ্য এসএলসি অনুমতি প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো সাড়া আসেনি। ফলে দেশটির ঘরোয়া সকল টুর্নামেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্টগুলো বন্ধ থাকবে বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।