সেশনজট নামক এই মহাঅভিশাপের কারণে দেশের লাখো শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ঝরে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। সে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা হারিয়ে ফেলছেন লেখাপড়া করার ইচ্ছা। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশন বলছে, করোনায় ১৯ মাসে সারা দেশে ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে বড় একটি অংশ তরুণ-তরুণী এবং সেশনজটের কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করুণার ওপর নির্ভর করে আছে এ দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আস্থা। পরিশেষে বলতে চাই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সমস্যা নির্মূল করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পূর্বের ন্যায় প্রতিটি কলেজে শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে। একাডেমি বর্ষ ছোট করে সিলেবাস কমিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের হারিয়ে যাওয়া সময়গুলো পুষিয়ে নিতে হবে এবং দ্রুত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করতে হবে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাই শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা চাই, সেশনজটমুক্ত হোক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জ্ঞানের প্রবাহ হোক বাধাহীন।
আহমেদ জুনাইদ তন্ময়
শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
ই–মেইল: [email protected]