নির্বাচন ছাড়াই ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কমিটি | খেলা

নির্বাচন ছাড়াই ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কমিটি | খেলা

<![CDATA[

আবারো নির্বাচন ছাড়াই গঠিত হলো বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি। বিভিন্ন পক্ষের সমাঝোতার মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সাধারণ সম্পাদক পদে আমির হোসেন রানা ও জোবাইদুর রহমান মনোনোয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর আগেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জল ঘোলা করেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা।

 

তবে নানা টালবাহানা ও নাটকের পর নির্বাচনের আগেই কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর আগে নির্বাচনের জন্য দুই পৃথক প্যানেল থেকে ৪৮টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। তবে মনোনোয়ন প্রত্যাহারের দিনে দুই প্যানেল থেকেই সমাঝোতা করে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় ২৪টি মনোনয়ন। ফলে নির্বাচন না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব শেখ হামিম হাসান বলেন, ‘নির্বাচনি তফসিল অনুসারে মননোয়ন প্রত্যাহারের দিন ছিল। ইতোমধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে একটি সমন্বিত প্যানেল জমা দেয়া হয়েছে। বিধান অনুসারে সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে।’

 

আরও পড়ুন: নাদালের কণ্ঠে বিদায়ের সুর

 

তবে নির্বাচনের মূল আকর্ষণ সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হয়েছে জলঘোলা। দুই প্রার্থী আমির হোসেন রানা ও জোবাইদুর রহমান মনোনোয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আলমগীর হোসেন। নির্বাচিত হয়েই ব্যাডমিনন্টকে এগিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি। 

 

আলমগীর বলেন, ‘জেলা, বিভাগ এবং ক্লাবকে নিয়ে সমন্বয় করে, ‍সুন্দরভাবে ব্যাডমিন্টনকে আরও গতিশীল এবং উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নেবো। এটাই আমার প্রত্যাশা। আমরা প্রথম দায়িত্ব নিয়েই সব ক্লাবের সঙ্গে বসবো এবং লিগটাকে মাঠে গড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবো। কাছাকাছি দেশগুলোতে যেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের পাঠাতে পারি, সে উদ্যোগও নেয়া হবে।’

 

নির্বাচন না হওয়ায় কিছু যোগ্য সংগঠক কমিটিতে সুযোগ পায়নি বলে দাবি করেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমির হোসেন রানা।

 

তিনি বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় কটিমিটা করতে পারলে হয়তো আরও কিছু যোগ্য লোক এখানে ঢুকতে পারতো। যেটা ব্যাডমিন্টনের জন্যই ভালো হতো। যেহেতু শেষ মুহূর্তে এ কমিটি করা হয়েছে, আমাদের চেয়ে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি এখানে আসতে পারেনি।’

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাবাডিতে চ্যাম্পিয়ন ১৭ পদাতিক ডিভিশন

 

গেল বছরও ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে হয়েছে নানা নাটক। উপস্থিত থাকলেও ভোট দেননি কোনো কোনো কাউন্সিলর। পরে অ্যাডহক কমিটি দিয়েই পরিচালনা করা হয় ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।

]]>

Scroll to Top