কোহলি ঝড়ে প্লে-অফের হাতছানি, মলিন ক্লাসেনের প্রথম সেঞ্চুরি

কোহলি ঝড়ে প্লে-অফের হাতছানি, মলিন ক্লাসেনের প্রথম সেঞ্চুরি
কোহলি ঝড়ে প্লে-অফের হাতছানি, মলিন ক্লাসেনের প্রথম সেঞ্চুরি

শেষ চারে জায়গা করে নিতে আইপিএলে দলগুলোর লড়াই জমে উঠেছে। তাই বড় স্কোর করেও খেলার শেষ দিকে এসে ৮ উইকেটে হারের স্বাদ পেতে হয় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে। তবে আরও বড় খবর, দিনপঞ্জিকার পাতার হিসাবে ১৪৯০ দিন পর আইপিএলে শতকের দেখা পেলেন ভিরাট কোহলি। ওদিকে এর আগে হেনরিখ ক্লাসেন নিজের শতক পূরণ করেন।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দুই দলের জন্যই প্লে অফ নিশ্চিত করতে আজকের ম্যাচ জেতা সমান গুরুত্বপূর্ণ। হায়দ্রাবাদে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ফাফ ডু প্লেসিস। টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের শেষ পর্যায়ে এসেও হায়দ্রাবাদ উদ্বোধনী জুটি আশানুরূপ রান করে যেতে পারেনি। দলীয় ২৭ রানে অভিষেক শর্মা এবং ২৮ রানে আরেক ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠির আউট হওয়া আরো একবার তারই প্রমাণ দিল। তিনে নেমে অধিনায়ক এইডেন মার্করামের ব্যাট আজও হাসেনি। ২০ বলে ১৮ করে তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন।

তবে মিডল অর্ডারে একাই দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন। আইপিএল ক্যারিয়ারের তুলে নেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ২০০ এর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলে করেন ১০৪ রান। দলের আরেক দামি খেলোয়াড় হ্যারি ব্রুক ১৯ বলে ২৭ করে ইনিংস শেষ করে আছেন। গ্লেন ফিলিপ্সের ৪ বলে ৫ রানের পর সবমিলিয়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৬।

ব্যাঙ্গালোরের বোলাররা ক্লাসেনকে রুখে দিতে না পারলেও গড়পড়তায় ভালো বল করেছে। মোহাম্মদ সিরাজ ২০ তম ওভারে এসে মাত্র ৪ রান দেয়। মোট ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে সিরাজ ১টি উইকেট নেয়। ২টি উইকেট শিকার করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। এছাড়া শাহবাজ আহমেদ এবং হারশাল প্যাটেল ১টি করে উইকেট পান।

প্লে অফে উঠার লক্ষ্য ১৮৭ রান করতে মাঠে নামে ব্যাঙ্গালোরের দুই ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস এবং ভিরাট কোহলি। রেকর্ড বলছে প্লেসিস এবং কোহলির উদ্বোধনী জুটিতে ১৩ ম্যাচে মোট ৮৫৪ রান আসে যা কিনা আইপিএল ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটি থেকে পাওয়া রানে সর্বোচ্চ। ১৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে কোহলি ১০০ করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হলে। ততক্ষণে কোহলি ক্রিকেটের বরপুত্রের আসনে বসে গেছেন। আইপিএলে ক্রিস গেইলের সমান ৬টি সেঞ্চুরির মালিকানা এখন ভিরাট কোহলির।

আব্দুল সামাদের পরিবর্তে ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হয়ে মাঠে নামা নটরাজন পান আরেক ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট। প্লেসিস ৪৭ বলে ৭১ রান করলে ১৩ ইনিংসে প্লেসিসের মোট রান ৭০২। বর্তমানে সে অরেঞ্জ ক্যাপ ধারণকারী। ঠিক পেছনে দ্বিতীয় নম্বরে থাকা কোলকাতা নাইট রাইডার্সের শুভমান গিলের সাথে তার ১২৬ রানের পার্থক্য।

কোহলি এবং প্লেসিসের শেষ না করা কাজটা সুন্দরমতো সেরে ফেলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

হায়দ্রাবাদের হয়ে দুইটি উইকেটের একটি পান নটরাজন এবং বাকি একটি উইকেট ভুবনেশ্বর কুমার। ভিরাট কোহলি পান আজকের ম্যাচ সেরা পুরষ্কার।

Scroll to Top