স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুষ্টি সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও পুষ্টিবিদসহ বিশিষ্টজনেরা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করা জরুরি বলেও মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীতে পুষ্টি সুশাসন বিষয়ে সাংবাদিকদের ফেলোশিপ সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘কালেক্টিভ রেসপনসিবিলিটি, অ্যাকশন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন’ প্রকল্পের এই আয়োজনে গণমাধ্যমের নীতি-নির্ধারণী ও সম্পাদকীয় পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্বরা যোগ দেন। এতে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ (বিএনএনসি) কৌশলগত সহযোগিতা প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে পুষ্টি সুশাসন বিষয়ে ফেলোশিপে অংশগ্রহণকারি ১০ জন সাংবাদিককে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
পুষ্টি সুশাসন বিষয়ে সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন- চ্যানেল২৪ এর জিনিয়া কবীর সূচনা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জয়শ্রী ভাদুড়ী, একাত্তর টিভির ডলার মেহেদী, সময় টিভির রাশেদ বাপ্পী, চ্যানেল আইয়ের জহির মুন্না, বিজনেস পোস্টের রোকন উদ্দীন, সমকালের জাহীদুর রহমান, যমুনা টিভির ইয়ামীন আলী (বাগেরহাট) এবং আজকের পত্রিকার এস এস সোহান (বাগেরহাট)। গণমাধ্যমবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন সমষ্টি পুষ্টি সুশাসন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ফেলোশিপ ও অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ডেইলি স্টার সেন্টারে এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মনীষ কুমার আগারওয়াল। সমষ্টি’র পরিচালক মীর মাসরুর জামানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সমকালের সবুজ ইউনুস, ঢাকা ট্রিবিউনের রিয়াজ আহমদ, চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান, মানবজমিনের কাজল ঘোষসহ অন্যরা।
এছাড়া পুষ্টি সুশাসনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুড কার্যক্রমের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেহের নিগার ভূঞা এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের ইমরানুল হক। অনুষ্ঠানে পুষ্টি সুশাসনে সাংবাদিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণ মডিউলের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বক্তারা গণমাধ্যম সংবাদপ্রবাহে পুষ্টি সুশাসন বিষয়ক সংবাদের ওপর জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, পুষ্টি সুশাসন মূলত সামগ্রিক পুষ্টিব্যবস্থার নীতি ও কৌশলগত দিকের সাথে যুক্ত। এগুলোর আলোকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচির সুফল মানুষের কাছে কতটা পৌঁছাচ্ছে, কর্মসূচির চ্যালেঞ্জগুলো কী কী তা নিয়ে গণমাধ্যমের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুষ্টিবিষয়ক ধারণাগুলোর প্রসারেও গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।