প্রিয়জন ছাড়া ঈদ, যেন এক অন্যরকম বিষাদ। ইচ্ছে করলেই বাস আর ট্রেনের টিকিট কেটে দেশের বাড়িতে যেতে না পারার আক্ষেপ। দেখা হয় না মমতাময়ী মা, বাবা, প্রিয়জন, পরিবার আর স্বজনদের সাথে। প্রবাসীদের ঈদ আছে, নেই ঈদের আনন্দ।
এবারের ঈদের দিন কর্মদিবস হওয়ায় প্রবাসীরা খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে আগেভাগে বের হয়ে পড়বেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। এরপর শুরু হবে সারাদিনের অফিসের কাজ। ফাঁকে ফাঁকে দেশে প্রিয়জনদের সাথে মুঠোফোনে চলবে শুভেচ্ছা বিনিময়।
সারাদিনের কাজ শেষে যান্ত্রিকতার প্রবাস জীবনে সন্ধ্যায় প্রবাসী বাঙালিরা পরিবার নিয়ে মিলিত হন একে অপরের সাথে, শ্রদ্ধা ভালবাসা আর সহমর্মিতায় পরিণত হয় মিলনমেলার। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন নানা গল্প আর আড্ডায়।
আড্ডা ঈদ আনন্দের সাথে উঠে আসে দেশের ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণ। পাশাপাশি চলে ঈদ উপলক্ষে নানা সুস্বাদু দেশীয় খাবারের আয়োজন। গৃহবধুরা নিজ হাতে তৈরি করেন দই, মিষ্টি, সেমাই সহ নানারকম দেশীয় খাবার।
বিশেষ এই দিনে প্রতিটি মুহূর্তে মনে পড়ে দেশের স্মৃতি। চেনা মুখগুলোর না দেখতে পারার কষ্ট। অনেকেই ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দেশের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আলাপচারিতায়। এই আলাপে কারো কারো চোখ ভরে আসে জলে। থাকে দেশে পরিবারের সাথে ঈদ না করতে পারার আক্ষেপও।