বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল ইসলাম জানান, গত ডিসেম্বরে ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। জানুয়ারিতে প্রথম তলার সিঁড়িসহ একতলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে করেন দোতলার সিঁড়িসহ দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। তবে সে কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ স্কুল বন্ধ থাকলেও মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলে আসি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে নির্মাণাধীন ভবনের পুরো সিঁড়ি ভেঙে পড়ে। এতে দুজন নির্মাণশ্রমিক সামান্য আহত হন।’
বিদ্যালয় অভিভাবক কমিটির সভাপতি মো. অলিউর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি ভেঙে ধসে পড়ে। এতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে আগত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো অনিয়মের মাধ্যমে নির্মাণ করেছেন। কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ভবনের কাজ শেষ হয়নি, এখনই সিঁড়ি ভেঙে পড়েছে। ভবিষ্যতেও তাই ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুজ্জামান সরেজমিন এসে দেখে যান এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নতুন করে সিঁড়ি নির্মাণের নির্দেশ দেন।