একদিকে ঘরের মাঠ, অন্যদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও তাদের হয়ে কথা বলছে। সব মিলিয়ে ফেভারিট হয়েই নারী এশিয়া কাপ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সিলেটে উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাট করা থাইল্যান্ডকে খুব একটা সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। স্পিন ভেল্কিতে দিশেহারা করে আটকে দেয় ৮২ রানেই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হল মাঠটির।
৮২ রানের সংগ্রহ পাওয়ার পথে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে ফান্নিতা মায়ার ব্যাটে। ২০ রান করেন নাত্থাকান ছানথাম। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট রুমানা আহমেদের।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে থাইল্যান্ড নারী দলের ব্যাটাররা। ইনিংসের ৫ম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই ওপেনার নান্নাপাতাই কোঞ্চারোয়েঙ্কাইকে (১২ বলে ৮) বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে অফ স্পিনার সোহেলী আক্তার ফেরান নতুন ব্যাটার নারুএমল চাইয়াইকে (৫ বলে ২)।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে থাই নারীদের স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ১৬ রান।
ইনিংসের ৭ম ওভারে আক্রমণে আসে পেসার জাহানারা আলম। যিনি চোটে পড়ে মিস করেছেন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব।
জাহানার করা ইনিংসের ৯ম ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় থাইল্যান্ড। ফান্নিতা মায়ার ব্যাটে আসে টানা দুই চার। শুরুর জড়তা কাটিয়ে ওপেনার নাত্থাকান ছানথামকে নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন।
তবে সোহেলীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে মায়া (২২ বলে ৩ চারে ২৬) আউট হলে ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকেনি চানিদা সুত্থিরুয়াং (১)। সালমা খাতুন এসে ফেরান এক পাশ আগলে রাখা ছানথামকে (৩৮ বলে ২০)। ৫ উইকেটে ৫৯ রানে পরিণত হয় থাইল্যান্ড।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রুমানা, নাহিদা, সালমা, সানজিদা, সোহেলীদের তোপে ৮২ রানেই গুটিয়ে যেতে হল।
সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ৯ রান খরচ রুমানার। দুইটি করে উইকেট নেন নাহিদা, সানজিদা ও সোহেলী আক্তারের।