আলাপকালে হাতীবান্ধার মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা নিজেরাই সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, কখন তিনি কী মাছ তুলবেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা খামারে এসে মাছ কিনে নেন। ভবানীপুর এলাকার ব্যবসায়ী ফজলার রহমান বলেন, ‘২৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। সোহেল ভাইয়ের মাছ খেয়ে দেখি স্বাদে বেশ ভালো। পরে বাজারে নিয়ে গেলে ক্রেতারাও তাঁর মাছের প্রশংসা করলেন। সে জন্য আমি তাঁর খামারের মাছ নিয়ে বিক্রি করি।’ ফজলার বলেন, ‘অন্য খামারিরা বাজারে এসে আমাদের মাছ দিয়ে যান। কিন্তু সোহেলের মাছের বেলায় ভিন্ন। নিজেরা তাঁর খামারে গিয়ে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দিয়ে আমরা মাছ কিনে আনি। কারণ, এলাকায় তাঁর মাছের আলাদা চাহিদা তৈরি হয়েছে।’
হাতীবান্ধার অন্যতম খাবারের দোকানদার মহির মিয়া বলেন, ‘আমি দুপুর ও রাতে সোহেলের মাছ পরিবেশন করি। বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকেও খাবারের অর্ডার আসে। সেখানে সোহেল চৌধুরীর মাছ দিই আমি। কারণ, ক্রেতারা এই মাছের স্বাদে সন্তুষ্ট। কেউ কেউ মাছের উৎসও জানতে চান।’