রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ‘মাতৃভূমি রক্ষায়’ সেনা সমাবেশের নির্দেশ পুতিনের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ‘মাতৃভূমি রক্ষায়’ সেনা সমাবেশের নির্দেশ পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার ভাষায় ‘মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য’ সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নির্দেশনার ফলে যারা কোন একসময় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভবিষ্যতে যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর কাজে লাগবার জন্য, সেই সব রিজার্ভিস্টদের এখন যুদ্ধ করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, মাতৃভূমি, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য তিনি সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকেই সেনা সমাবেশ শুরু হয়ে যাবে।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যারা সামরিক বাহিনীতে এর আগে কাজ করেছেন, সেইসব রিজার্ভিস্টদের সেনাবাহিনীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, রাশিয়ার অনেক যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত আছে। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যও তিনি বাড়তি তহবিল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে পুতিন বলেছেন, ”আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের ব্যবস্থা নেবো। এটা কোন ফাঁকা বুলি নয়।”

”যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।”

তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি থাকুক।

ডনবাসে যারা লড়াই করছে, তাদের আইনি স্বীকৃতি দেয়ারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেছেন, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা নিও-নাৎসি রাজত্বে যেতে চায় না।

সেখানে যে গণভোটের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, আমরা তাদের সহায়তায় রয়েছি।

ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা এই সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ায় যোগ দেয়া প্রশ্নে জরুরি গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা এরকম লজ্জাজনক গণভোটের ফলাফল কখনোই মেনে নেবে না।

নেটো সামরিক জোট জানিয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পনা যুদ্ধকে আরও উস্কে দেবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া।

Scroll to Top