টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্কোয়াডে অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে দেখতে না পেয়ে নির্বাচকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। হাফিজ বলেন, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শোয়েব মালিককে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন হাফিজ। কেননা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের বর্তমান দলে তাদের আর জায়গা হবে না।
‘আমি জানিনা শোয়েব মালিক কি যথাযথ বিদায় সংবর্ধনা পাবে কীনা। দীর্ঘ ২২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার। সম্প্রতি এক টুইটে সে দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, পছন্দ, অপছন্দ নিয়ে অনেক কথা বলেছে। অনেকে তার প্রতি খুশি নয়,’ ক্রিকেট পাকিস্তান চ্যানেলকে জানান হাফিজ।
‘গত ২১-২২ বছর পাকিস্তানের জন্য সেরাটা দিয়ে আসছে মালিক। যেভাবে সে ফিটনেস নিয়ন্ত্রণে রাখে, তা সত্যি অভুতপূর্ব। আমার অবসরের সময় তাকেও পরামর্শ দিয়েছিলাম অবসর নিতে। কেননা আমি জানতাম আমার মত সেও সম্মান পাবে না। তাকে শেষবারের মত বিদায় নেওয়ার সুযোগ দিক। কিন্তু ক্রিকেট বড্ড নিষ্ঠুর।’
২০১৯ বিশ্বকাপের পর মালিককে যথাযথ বিদায় দেওয়ার জন্য দলের ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলেন হাফিজ।
‘তারা আমার কথা শুনেনি। অবশ্যই মালিকের শেষ একটা ম্যাচ খেলা দরকার। যখনই কাউকে বিদায় দেওয়ার কথা উঠে, আমাদের ম্যানেজমেন্ট দায়সারা ভাব দেখায়।’
মালিক খেললে দলে একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকতো, দলের পরিবেশও দারুণ হতো।
‘তার কাট ও পুল খেলা নিয়ে কিছু বলা উচিত না। ২২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে, সে কি এসব পারে না? আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের যোগ্য ক্রিকেটার দরকার। বয়স ২০ বা ৪০ যাই হোক না কেন। ‘
এ বছরের শুরুতে অবসর নেওয়া হাফিজের মতে আসিফ আলি ও খুশদিল শাহ একদিকে বেশি ভালো খেলে, অন্যদিকে না।
‘টপ অর্ডারের প্রতি বেশি নির্ভরশীল পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এখন দলের স্বার্থে আক্রমণাত্নক ভূমিকায় খেলতে হবে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ভরাডুবির কারণ, খুশদিল ও আসিফ ইনিংস মেরামতে কার্যকরী না।’ জানান হাফিজ।