মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি ২০২২) ২৬ তম সম্মেলন। এই সম্মেলনের আয়োজক মালয়েশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন দ্য ন্যাশনাল টেক অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়া (পিকম)। দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মেলন মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার এবং সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়াসহ দশ জনের একটি দল এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
‘কানেক্টিং অ্যান্ড ট্রান্সফর্মিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্লোগানে ৮০ টি দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার লোক এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে। সম্মেলনে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কি-নোট স্পিকার এবং ২০০ এর অধিক সাবজেক্ট ভিত্তিক মডারেটর এবং প্যানেলিস্ট উপস্থিত থাকবেন। তথ্য প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিশ্ব এবং উন্নত ব্যবসা সম্পর্কে নিজেদের মতামত প্রদান করবে।
১৯৭৮ সাল থেকে এই সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন, টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স (উইটসা)। পৃথিবীর স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোসহ পৃথিবীর ৮২টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য। এই সদস্যরাই সারা পৃথিবীর ৯০ শতাংশ আইটি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি দেশ থেকে একটি সংগঠন এখানে সদস্যপদ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশে উইটসার সদস্য বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস)। বিসিএস ১৯৯৯ সালে বিসিএস উইটসার সদস্যপদ অর্জন করে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ডব্লিউসিআইটি- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। পিকমের সভাপতি ড. সিন সিয়াহ এবং জেনারেল সেক্রেটারি ড. জিম পয়সান্ট এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেন। ফাইভজি, হেলথটেক, স্মার্টসিটি, গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিসেস, এডুটেক, ব্লকচেইন অ্যান্ড এনএফটিএস, সাইবার সিকিউরিটি, সি ইউনিকর্নসসহ মোট ১৫টি প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর এবারের সম্মেলনে আলোকপাত হবে।
তিনদিন ব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে এই সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।