নয়াদিল্লি, ১৬ জুলাই – ক্যানসার, ডায়াবিটিসসহ ৭১টি জরুরি ওষুধের দাম বেঁধে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি জারি মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের দাম কত হবে— তা নির্ধারণ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) নামের একটি সংস্থা। এটি করে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা।
ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা ‘রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস’- এর তৈরি একটি ক্যানসারের ওষুধের নাম ট্রাস্টুজুমাব। মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
যে ৭১টি ওষুধের দাম বেঁধে দিয়েছে এনপিপিএ, সেসবের মধ্যে ট্রাস্টুজুমাবও রয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুাসারে, এখন থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ভায়াল ট্রাস্টুজুমাবের দাম হবে ১১ হাজার ৯৬৬ রুপি। ভারতীয় কোম্পানি
‘টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল্স’-এর তৈরি একটি ওষুধ পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, এসোমেপ্রাজ়ল এবং অ্যামোক্সিসিলিনের মিশ্রণে তৈরি ওই ওষুধের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১৬২ দশমিক ৫ রুপি স্থির করা হয়েছে।
এ ছাড়া কয়েকটি ভারতীয় ওষুধ কোম্পানির তৈরি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সংক্রান্ত ২৫টি ওষুধের নাম রয়েছে এই এনপিপির তালিকায়। ভারতের জনপ্রিয় ডায়াবেটিস ওষুধ সিটাগ্লিপ্টিন নামও রয়েছে এই ২৫টি ওষুধের মধ্যে।
এ ছাড়া কিছু সংস্থার তৈরি ডায়াবিটিস প্রতিরোধের ২৫টি ওষুধের (যেগুলির মধ্যে সিটাগ্লিপ্টিন রয়েছে) দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্থার প্যারাসিটামল ওষুধের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে এই ওষুধগুলোরর দাম স্থির করা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে ওই ওষুধগুলির ‘এমআরপি’-র উপরে ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল এনপিপিএ। ওই তালিকায় ছিল প্যারসিটামল, কাশি, ব্লাডসুগার, বাত, কৃমি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘুম, ভিটামিন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন রোগের ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন।
তার আগে গত বছরের অক্টোবরে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাজমা, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি অবশ্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রের এই সংস্থা। ওই সময় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১৬ জুলাই ২০২৫