৬ বলে ১৭ রানের ম্যাচ, ফিজের ৩ বলেই শেষ! – Allrounder BD

৬ বলে ১৭ রানের ম্যাচ, ফিজের ৩ বলেই শেষ! – Allrounder BD

৬ বলে ১৭ রানের ম্যাচ, ফিজের ৩ বলেই শেষ! – Allrounder BD

দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, শার্দুল ঠাকুর, মাথিশা পাথিরানা আর মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই একাদশে পাঁচ পেসার। দেশের কোনো ভক্ত যদি ইনিংসের আগে ফিজকে নিয়ে টেনশনও করে থাকে, তাহলে সেটাকে অস্বাভাবিক কিছু বলার সুযোগ ছিল না একেবারেই। মুস্তা অবশ্য সবার সব টেনশন দূর করেছেন প্রথম ওভারেই। চার হজম করে শুরু, এরপর রান দ্য উইকেটে গিয়ে বোলিং, চার নম্বর বলে রাহুলের উইকেটের সাথে ওভারে চার ডট! প্রথম ওভারেই দারুণ ছন্দে টাইগার স্টার।

কিন্তু সেই ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারলেন কোথায়! পঞ্চম ওভারের পর বোলিংয়ে এসেছেন ইনিংসের ১৫তম ওভারে, রান দিয়েছেন ১৩, ১৮তম ওভারে দিলেন ১৫। ৩ ওভার শেষে মুস্তার নামের পাশে ১ উইকেটে ৩২। শেষ ওভার তাকে দেয়ার মতো ঝুঁকি সিএসকে নেবে কি না, সেটাই তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

শেষ ওভারে লাক্ষ্ণৌর দরকার ১৭ রান, রুতুরাজ গায়কোয়াড় দুই ওভারে এগারো রান দেয়া দীপক চাহারকে না দিয়ে ভরসা রেখেছেন মুস্তাফিজের ওপরেই। কিন্তু টাইগার পেসার ক্যাপ্টেনের ভরসা আর রাখতে পারলেন কই! প্রথম বলেই ছক্কা, দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে চার, তিন নাম্বার বলটা আবার করেছেন নো বল; ততোক্ষণে সেঞ্চুরি করা মার্কাস স্টয়নিস ব্যাটার, তিনি কি আর মিস করার পাত্র! ফ্রি হিট বলে চার মেরে তিন বল থাকতেই দলকে নিলেন জয়ের বন্দরে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে চেন্নাইয়ের এই মাঠে লাক্ষ্ণৌ গড়ল সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড, মার্কাস স্টয়নিসের তেষট্টি বলে ১২৪* রানও এই মাঠে রান তাড়া করার বেলায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

সবশেষ দুই ম্যাচেও মুস্তা ছিলেন খরুচে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ৫৫ রানের পর লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষেই দিয়েছিলেন ৪৩ রান। দুটি ম্যাচেই উইকেট নিয়েছিলেন ১টি করে। এই ম্যাচেও মুস্তা নিয়েছেন এক উইকেট, রান দিয়েছেন একান্ন।

Scroll to Top