স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গতকাল দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানায় এসেছিলেন এক নারী। তবে এ থানার কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী পুড়ে যাওয়া থানা ভবনের বাইরে চেয়ার–টেবিল পেতে বসেছিলেন। তাঁরা ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ লিখে রাখেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে অনেকেই থানায় আসছেন। থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই। তাই তাঁরা সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ লিখে রাখছেন। পরে সেগুলো থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থানা সেনাসদস্যদের কাছে জমা দিচ্ছেন।
জিডি ও অভিযোগ লেখার কাজ করছিলেন বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বেলা দুইটা পর্যন্ত তিনি ১২টি জিডি ও অভিযোগ লিখে রেখেছেন। এর মধ্যেই অধিকাংশ অভিযোগ জোর করে জমি দখলের।
গতকাল দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানা ভবনের বাইরে সেনাবাহিনীর দুটি টহল গাড়ি ছিল। আর থানা ভবনের ফটকে পাহারায় ছিলেন শিক্ষার্থীরা।
যাত্রাবাড়ী থানার ছয়তলা ভবন ৫ আগস্ট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া থানা ভবনের সামনে অর্ধশতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, থানার ভবন মেরামত করে কার্যক্রম চালু করতে অনেক সময় লাগবে। এখন অস্থায়ী একটি স্থাপনা করে থানার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তাঁরা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের শিকার হয়ে অনেকেই থানায় আসছেন। পুলিশ ছাড়া তাঁদের সহযোগিতা করা যাচ্ছে না।