ফুলপুরের পাগলা গ্রামের মফিদুল ইসলাম বলেন, সারা দিনে অন্তত ৩০০ মোটরসাইকেল চলাচল করে। সেতু না থাকায় মানুষ নৌকায় করে মোটরসাইকেল নিয়ে নদ পার হন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
খেয়াঘাটের মাঝি শ্যাম দেওয়া বলেন, সপ্তাহে দুদিন শাকুয়াই হাট। এ দুদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ পারাপার করেন। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে খেয়া পারাপার হন। অন্তত ৩০ বছর ধরে এ খেয়াঘাটে মাঝি হিসেবে নিয়োজিত আছেন তিনি। শ্যাম আরও জানান, বর্ষাকালে কংস নদে দুকূল ছাপিয়ে যায় স্রোত। খরস্রোতা নদে বর্ষাকালে খেয়া পারাপার খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
শ্যাম দেওয়া বলেন, প্রতি বছর ১৬ লাখ টাকায় ইজারা হয় এ ঘাট। প্রতিদিন নৌকা চালানোর পারিশ্রমিক হিসাবে তিনি পান ৫৫০ টাকা।
খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার করার সময় জহিরুল ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, স্থানীয় মানুষদের দাবি, এ ঘাটে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছার অভাবে এখানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না।