মে মাসে আয়ারল্যান্ডের ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে আতিথ্য দেবার কথা। ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম অনুযায়ী আইরিশদের বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার কথা তাদের মাঠে। তবে সুপার লিগের লড়াইয়ে নিজেদের সুযোগ নিশ্চিত করতে ওয়ানডে সিরিজ ইংল্যান্ডে আয়োজন করতে চায় ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের সুপার লিগের তালিকায় সেরা ৮ এ থাকা নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফল ও শ্রীলঙ্কার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফলের ওপর নির্ভর করছে।
যদি শ্রীলঙ্কা মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে না জেতে তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতলে ৮ নম্বর জায়গা নিজেদের করে নিতে পারবে আইরিশরা। সেক্ষেত্রে কোয়ালিফায়ার না খেলেই বিশ্বকাপে খেলতে পারবে তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পয়েন্ট জরিমানার শিকার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদি দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে ২-০ ব্যবধানে হারায়, আর আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় তাহলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হবে, নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দল এগিয়ে যাবে। এই মুহূর্তে আইরিশদের নেট রান রেট প্রোটিয়াদের চেয়ে ভালো।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ ইংল্যান্ডে আয়োজনের জন্য ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) এর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড। বিদেশি গণমাধ্যমের খবর চেলমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে এই সিরিজ আয়োজন করার প্রচেষ্ঠা চলছে।
ডাবলিনে ঐ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি, তাই ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড বিশ্বাস করে চেলমসফোর্ডে সিরিজ আয়োজন করলে পূর্নাঙ্গ ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ বাড়বে।
এই সিরিজে আয়ারল্যান্ড জশ লিটলের সার্ভিস নাও পেতে পারে। বাংলাদেশ খেলতে পারে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাসকে ছাড়া। ঐ সময়েই যে চলবে আইপিএলের এবারের আসর।