৩৯ জনের দণ্ড মওকুফ করলেন বাইডেন, সাজা কমালেন ১৫০০ জনের – DesheBideshe

৩৯ জনের দণ্ড মওকুফ করলেন বাইডেন, সাজা কমালেন ১৫০০ জনের – DesheBideshe

৩৯ জনের দণ্ড মওকুফ করলেন বাইডেন, সাজা কমালেন ১৫০০ জনের – DesheBideshe

ওয়াশিংটন, ১৩ ডিসেম্বর – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার আগে সময় আছে আর মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়। এই সময়ে এসে তিনি অনেক অপরাধীর সাজা মওকুফ করছেন।

এর মধ্যে একদিনেই অহিংস অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ৩৯ জনের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আরও প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছেন বিদায়ী এই প্রেসিডেন্ট।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন— অহিংস অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৩৯ জনকে ক্ষমা এবং আরও প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনের সাজা তিনি কমিয়ে দিয়েছেন যারা দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।

বিদায়ী এই প্রেসিডেন্ট নিজের সন্তান হান্টার বাইডেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা ঘোষণা করার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এই পদক্ষেপ নিলেন। একদিনে এতোজনের সাজা মওকুফ করার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য এটাই প্রথম।

বাইডেন বলেছেন, যে লোকেদের তিনি ক্ষমা করেছেন তারা আজকের আইন, নীতি এবং অনুশীলনের অধীনে অভিযুক্ত হলে ছোট সাজা পেতেন।

অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের ক্ষমা করা হয়েছে তাদের মধ্যে একটি বড় অংশকে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ৩৯ জন মারিজুয়ানা মাদক গ্রহণের মতো অহিংস অপরাধের দায়ে সাজা ভোগ করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করার দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে ক্ষমা ও দণ্ড কমানোর এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত জুনে হান্টার বন্দুক রাখা এবং আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

সেই সময় বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই। কারণ, বাইডেন বরাবরই বলেছিলেন— তিনি তার ছেলেকে ক্ষমা করবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে তিনি হান্টারকে ক্ষমা করেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেনের এই ঘোষণায় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পুনর্মিলন ঘটানো, সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহাদ্য বাড়ানো এবং বিচ্ছিন্ন থাকা ব্যক্তিদের তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিনিধিত্ব করে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪



Scroll to Top