ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এমন একজন নেতা জানান, একজন রাজনীতিক কেন রাজনীতি করেন, তাঁর শেষ আকাঙ্ক্ষা কী থাকে, এমন বিষয়ে আলোকপাত করেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবীণ রাজনীতিক ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারের ‘জানাজায়’ কম মানুষের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। ওই নেতা মনে করছেন, এ ধরনের কথাবার্তার মধ্য দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব শরিক জোটের নেতাদের বোঝাতে চেয়েছেন যে একজন রাজনীতিকের শেষ কথা হচ্ছে জনগণ। কোনো ‘লোভ’ বা ‘টোপে’ পড়ে জনগণের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গেলে এর পরিণতি কখনো ভালো হয় না।
উল্লেখ্য, উকিল আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের সঙ্গে তিনিও পদত্যাগ করেন। কিন্তু এ আসনে উপনির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর আবদুস সাত্তার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন। পরে তাঁকে বিএনপি বহিষ্কার করে। ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি মারা যান।