২৭তম বিসিএস: বাদ পড়াদের ভাগ্য নির্ধারণী রায় বৃহস্পতিবার

২৭তম বিসিএস: বাদ পড়াদের ভাগ্য নির্ধারণী রায় বৃহস্পতিবার

২৭তম বিসিএস’র দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়াদের ভাগ্য নির্ধারণী আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাচ বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের দিন ধার্য করেন। আদালতে পরীক্ষায় বাদ পড়াদের পক্ষে আজ শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সালাউদ্দীন দোলন। এদের পক্ষে আরও ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

আপিল বিভাগের রায়ের ১৪ বছর পর রিভিউ পর্যায়ে এসে লিভ টু আপিলটি গত ৭ নভেম্বর মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ। সেদিনের ওই আদেশের ফলে ২৭তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ১১৩৭ জনের ভাগ্য নির্ধারণী আপিল শুনানির দুয়ার খুলে বলে জানান আইনজীবীরা।

২৭ তম বিসিএস-এর প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ ক’জন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। পরবর্তীতে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই ততকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন। সে রায়ে ২৭ তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

Scroll to Top