এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
মোহাম্মদ মাহামুদুল: মালদ্বীপে প্রবাসীদের মৃত্যু মিছিল যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। গত ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত দুই প্রবাসী হলেন, মো. খসরু আহমেদ (৫৩) এবং মো. ইয়াছিন মিয়া (২২)। ইয়াছিনের বাড়ি কুমিলা জেলার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোপাল নগরে। আর খসরু আহমেদের বাড়ি সিলেট জেলার, জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মৃত দুই প্রবাসী রাজধানী মালের পার্শ্ববর্তী আইল্যান্ডে কাজ করতেন। খসরু আহমেদ বৈধভাবে কাজ করলেও ইয়াছিন মিয়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন।
যিনি বৈধ ছিলেন তার সম্পূর্ণ খরচ মালিক বহন করলেও অবৈধভাবে কর্মরত মৃত প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার লাশ পাঠানো হয়েছে এখানকার ইন্সুরেন্স কোম্পানি ও দূতাবাসের সহযোগিতায়।
আগামীকাল শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১১টায় বাংলাদেশে পৌঁছালে লাশ তাদের স্বজনরা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
মৃত ইয়াছিনের আত্মীয় জানান, পরিবারের হাল ধরতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপ আসেন ইয়াছিন। তার বেতন দিয়েই চলত তাদের সংসার। ইয়াছিনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃত আরেক প্রবাসী খসরু আহমেদ সংসারের অভাব ঘোচাতে ১০ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছেন। আসছে রমজানে দেশে ফিরবেন এই জন্য নিজ কোম্পানি থেকে ছুটিও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন ফিরবে লাশ হয়ে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশাহারা পরিবারের সদস্যরা।
খসরু আহমেদের আত্মীয় ও মালদ্বীপের সিলেট প্রবাসী সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন বলেন, খসরু মালদ্বীপের ধিগুরা আইল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন। স্টোক করে গত এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তবে তার লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর সম্পূর্ণ খরচ মালিক বহন করেন। এছাড়াও পরবর্তীতে এক মাসের বেতন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০ হাজার টাকা দিবে বলেও জানিয়েছেন মালিক।