২০ বছরের পুরনো সেতুর ভয়ঙ্কর পরিণতি, পাইপই এখন ভরসা! দিশেহারা একাধিক গ্রাম

২০ বছরের পুরনো সেতুর  ভয়ঙ্কর পরিণতি, পাইপই এখন ভরসা! দিশেহারা একাধিক গ্রাম

Last Updated:

বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা বাঁশ বেঁধে ভাঙা সেতুর জলের পাইপ লাইনের উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন। ঝুঁকি নিয়েই চলছে চলাচল।

+

২০ বছরের পুরনো সেতুর  ভয়ঙ্কর পরিণতি, পাইপই এখন ভরসা! দিশেহারা একাধিক গ্রাম

ভেঙে পড়েছে সেতু।

দক্ষিণ দিনাজপুর, সুস্মিতা গোস্বামী : কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল যাতায়াতের একমাত্র সেতু। এরপরেই জীবন হাতে নিয়ে ঝুঁকির পারাপার গ্রামবাসীদের। তপন ব্লকের ৬ নং চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর ও মিল্কিডাঙ্গা গ্রাম থেকে হলিদানা ও আকতৈল গ্রামে যাওয়ার একমাত্র ভরসা ছিল ১০ মিটারের ওই কংক্রিটের সেতু। এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ব্যাপকহারে।

সংস্কারের অভাবে সেই সেতু ভেঙে পড়তেই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক গ্রামের। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা বাঁশ বেঁধে ভাঙা সেতুর জলের পাইপ লাইনের উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন। ঝুঁকি নিয়েই চলছে চলাচল। ওই সেতুর নীচ দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাড়ি। যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন : দুষ্কৃতীদের ঘুম কেড়ে নিতে দুর্গাপুরে পুলিশের নতুন চাল! আর চোখ এড়ানো যাবে না 

এবিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অম্বরিশ সরকার জানান, “বিষয়টি জানা নেই। তবে খুব শীঘ্রই খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সেতু ভেঙে পড়ায় যাতে কোনও ধরণের বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের বরাদ্দ অর্থে এই সেতুটি নির্মাণ হয়েছিল। দু’দশক আগে তৈরি সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছিল বছরখানেক আগেই।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তারপর থেকে ওই সেতুটির সংস্কার হয়নি। মেরামত না করা গেলেও সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শয়ে শয়ে লোক যাতায়াত করত। তবে, শুধু মানুষ নয়, ট্রাক্টর সহ অন্য গাড়িও চলাচল করত। তবে এদিন ভেঙে যেতেই দুর্বিসহ অবস্থা গ্রামবাসীদের। ফলস্বরূপ বাচ্চারা যেমন স্কুলে যাতায়াত করতে পারছে না, তেমনি নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ ঝুঁকি পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনকে বারংবার সংস্কারের জন্য জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

Scroll to Top