বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁরাও সংস্কার চান। সে জন্য দুই বছর আগে আওয়ামী শাসনবিরোধী আন্দোলনে তাঁরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন যে বিষয়ে সংস্কারের আলোচনা হচ্ছে, তার সবই ওই ৩১ দফায় রয়েছে। শুধু আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের বিষয়টি তাঁদের প্রস্তাবে নেই। কারণ, তাঁরা এটিকে বাস্তবসম্মত মনে করেন না।
দলটি বলছে, সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সব কমিশনের সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন এক–দুই বছরে সম্ভব নয়। বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, নির্বাচনব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ—শুধু এই চারটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার চায় বিএনপি। এর বাইরে অন্যান্য সব সংস্কার প্রস্তাব নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।
বিএনপি মনে করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের জন্য চার–পাঁচ মাস সময় প্রয়োজন। ফলে নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় না দলটি। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে তাতে আপত্তি থাকবে না বিএনপির।