ওঙ্কার সরকার, কলকাতা: সোমবার ছিল জাতির জনক মাহাত্মা গান্ধির ১৫৪ তম জন্ম দিবস। তবে এদিনও কলকাতার ধর্মতলার অদূরে থাকা ঐতিহাসিক গান্ধি মূর্তি রইল তাঁর চশমা ছাড়াই!
ডাফরিন রোড এবং মেয় রোডের সংযোগস্থলে থাকা গান্ধিজির মূর্তিটি বছরের পর বছর ধরে বহু প্রতিবাদের সাক্ষী। শাসক কিংবা বিরোধী দল থেকে ইদানিং চাকরীপ্রার্থীরা প্রতিবাদের সময় গান্ধিজির মূর্তিকে সাক্ষী রেখে সরব হন নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে। কিন্তু বর্তমানে এই ঐতিহাসিক প্রতিবাদস্থলে থাকা গান্ধি মূর্তিটির দৃষ্টিশক্তি খানিক দুর্বল হয়ে পড়েছে, কারণ জাতির জনকের মূর্তিতে বৃত্তাকার চশমটিই আজকাল আর তাঁর সঙ্গে নেই! ২০২০ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান কেড়ে নিয়েছিল গান্ধিজির মূর্তির সেই চশমা। সেই সময়ের পর থেকেই ঐতিহ্যবাহী এই মূর্তিতে নেই চশমা ৷
গান্ধিজির ঐতিহাসিক মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর অনুযায়ী, এই ঐতিহাসিক গান্ধি মূর্তিটির চশমা পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন– আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই
কালীঘাট পটুয়াপাড়ার প্রখ্যাত শিল্পী পিন্টু পালকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শিল্পী বহু দিন যাবৎ এই ধরনের বিভিন্ন কাজ করে আসছেন এবং এই ধরনের কাজে যথেষ্ঠ পারদর্শী। শিল্পী সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মূর্তিটির জন্য একটি ব্রোঞ্জের চশমা তিনি তৈরি করেছেন। যার ওজন প্রায় ২ কেজির কাছাকাছি এবং মূর্তির ডান কান থেকে বাম কান পর্যন্ত প্রায় ১৮ ইঞ্চি লম্বা। এই ব্রোঞ্জের চশমা ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরে জমা করেছেন তিনি। এরপর পূর্ত দফতরের চূড়ান্ত অনুমোদন মিললেই এই চশমা আবার পরিয়ে দেওয়া হবে ডাফরিন রোড এবং মেয় রোডের সংযোগস্থলে থাকা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির এই মূর্তিতে। তবে এবার ঝড় ঝঞ্ঝায় যাতে পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত অথবা খুলে না যায় তার জন্য এবার মূর্তিতে চশমা এটে দেওয়া হবে নাটের সাহায্যে।
Published by:Siddhartha Sarkar
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mahatma Gandhi