১২ লাখ টাকার ইলেকট্রিক কেবল উধাও…! পাচার পুলিশের গাড়িতেই, পুরো ঘটনা সামনে আসতেই যা করল পুলিশ

১২ লাখ টাকার ইলেকট্রিক কেবল উধাও…! পাচার পুলিশের গাড়িতেই, পুরো ঘটনা সামনে আসতেই যা করল পুলিশ

Last Updated:

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের কেবল সহ সরঞ্জাম ঘরে বসেই উধাও করে দিয়েছিল মূল পরিকল্পনাকারী দুষ্কৃতী।

কোক ওভেন থানা১২ লাখ টাকার ইলেকট্রিক কেবল উধাও…! পাচার পুলিশের গাড়িতেই, পুরো ঘটনা সামনে আসতেই যা করল পুলিশ
কোক ওভেন থানা

পশ্চিম বর্ধমান, দুর্গাপুর: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিদ্যুতের কেবল সহ সরঞ্জাম ঘরে বসেই উধাও করে দিয়েছিল মূল পরিকল্পনাকারী দুষ্কৃতী। তবে কথায় আছে ‘কান টানলে মাথা আসে।’ সেই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে চুরির অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীর কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে কোক ওভেন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

প্রথমে পুলিশ গাড়ি চালক নীতেশ কুমার যাদবকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি বিহারে।তার গাড়িতে করেই চুরি করা সামগ্রী পাচার করা হয়েছিল হাওড়ার লিলুয়া মালিপাঁচঘোড়া এলাকায়। নীতেশ কুমার পুলিশের জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে। তাকে সঙ্গে নিয়ে হাওড়ায় হানা দেয় পুলিশ। অভিযানের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় প্রতাপ সিং নামের আরও এক ব্যক্তি। তার বাড়ি হাওড়ায়। প্রতাপকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, চুরি করা বিদ্যুতের কেবল ও সরঞ্জাম রয়েছে অন্য একজনের কাছে।

এরপর পুলিশ অনুজ কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি হাওড়াতে। তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া বিদ্যুতে কেবল ও সরঞ্জাম। পাশাপাশি গাড়ির চালক সহ কারবারিরাও গ্রেফতার হয়েছে। অনুজ কুমারের পর এবার পুলিশ মাস্টারমাইন্ড  দুষ্কৃতীর খোঁজ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন  নিগমের প্রকল্পে ১১ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল পাতার কাজ চলছিল নারায়ণপুর এলাকায়। ১২ জুলাই সেই কেবল চুরি হয়ে যায়। অনুজকে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিএনএস ২০২৩-এর ৩০৩ (২) ধারায় তার বিরুদ্ধে  মামলা রুজু হয়েছে।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম বর্ধমানের কোকওভেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মইনুল হকের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এসআই রিন্টু মাহাত। পুলিশ এই ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ক্রেন মেশিন, একটি লরি ও একটি পিক-আপ ভ্যান সহ তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনায়  মূল পাণ্ডা এখনও অধরা। তার খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে কোকওভেন থানার পুলিশ। কোকওভেন থানার পুলিশের এই সাফল্যে খুশি শহরবাসী।

দীপিকা সরকার

Scroll to Top