জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার দাবিতে গণ-অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অনশনরত ১১ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়।
জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। চারজন ট্রায়ালে আছে। অবস্থা বুঝে তাদেরও ভর্তি করা হবে।
ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল মুরাদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সোহান প্রামাণিক, একই ব্যাচের ফিলোসোফি বিভাগের তাওহিদুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সোহাগ, ১৭ ব্যাচের সমাজকর্ম বিভাগের জোবায়ের, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মাহফুজ, ১৭ ব্যাচের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তানজিল, একই বিভাগের ১৮ ব্যাচের আশিকুল ইসলাম, একই ব্যাচের ইন্সটিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের শের আলি, ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখার সভাপতি এ কে এম রাকিব।
এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে আটটায় তিন দাবিতে গণ-অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।