ওয়াশিংটন, ১৭ এপ্রিল- যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ভিসাধারীদের কার্যকলাপ সংক্রান্ত তথ্য না দিলে হার্ভার্ড বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অধিকার হারাবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ডিএইচএস সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম বলেন, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যকলাপ’ সম্পর্কিত রেকর্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি হার্ভার্ড নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে না পারে যে তারা তাদের রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে, তাহলে তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার বিশেষ সুবিধা হারাবে।
এই পদক্ষেপের পাশাপাশি, ডিএইচএস হার্ভার্ডকে দেওয়া দুইটি অনুদান বাতিল করার ঘোষণাও দিয়েছে। অনুদানগুলোর মোট পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ডলারেরও বেশি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশাসনের এই হুমকি শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কারণ তারা ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর এই ধরনের প্রশ্ন তোলার অধিকার যে কারোরই রয়েছে।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দেখা গেছে। এই বিক্ষোভগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফেডারেল তহবিল কাটা ও তদন্ত শুরুর হুমকি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্ভার্ডসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন, যারা শুধু শিক্ষা খাতেই নয়, অর্থনীতির ওপরও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ১৭ এপ্রিল ২০২৫