ইনুর আইনজীবীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ইনুর ১৯৭০ সাল থেকে পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম, খুন, ক্রসফায়ার, দিনের ভোট রাতে করার প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে এই আসামি জড়িত। বিগত সরকারের সময় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
ওমর ফারুক ফারুকী আরও বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমরা জানি, জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান দেশ থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে কেবল শেখ হাসিনা পালাননি, পালিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিবও। আরও পালিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, ঢাকা কোর্টের প্রধান পিপিও।’
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ইনু ও মেননকে এই মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
পরে ইনু ও মেননকে এজলাসকক্ষ থেকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পথে ইনুর কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘আপনার আইনজীবী বলেছেন, আপনি কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন? আপনার বক্তব্য কী?’
তখন ইনু হাসতে হাসতে বলেন, ‘যে লাউ, সেই কদু।’ তখন সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি লাউ নাকি কদুর পক্ষে?’ ইনু হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি লাউ-কদু দুটিরই বিপক্ষে।’