বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলের ডাকা তৃতীয় দফা হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের মোট নয়টি গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু হল থেকে রেজা-ই-এলাহী ও মুমিন শুভ’র নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলটি আনসার ক্যাম্প হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই- এলাহী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নেতাকর্মী এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। অতীতেও আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেন সুষ্ঠু থাকে এবং সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপদ রাখে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব। ভবিষ্যতে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন আবারও সরকার গঠন করতে পারে এবং যেকোনো অরাজকতা রুখে দিতে কুবি শাখা ছাত্রলীগ কাজ করবে।”
এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবাদ মিছিলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল করার জন্য, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই হরতাল অবরোধের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত উঠেপরে লেগেছে। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে বলতে চাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে হলে ছাত্রলীগের রক্তের উপর দিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত।’
ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ (জেরিন-শান্ত) তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক মিছিল করেন। ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত জনসমর্থন ছাড়া হরতাল করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে এবং নিজস্ব পিকেটারকে দিয়ে বাসে আগুন দেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে আগুন দিচ্ছে। আমরা সবসময় জনজীবনের জন্য বিপত্তিকর সকল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। বিএনপি-জামায়াত একাত্তর সাল পরবর্তী সময় থেকে তারা কখনো দেশের সামগ্রিক, সাধারণ মানুষের অবস্থার কথা চিন্তা করেনি। তারা ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করে গেছে। জনগণের উন্নয়নের যে রাজনীতি সে রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজীবন প্রতিষ্ঠিত থাকুক। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সারাদেশে বিএনপি এবং তার সমমনা দলগুলো তিন দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। আজ তার দ্বিতীয় দিন চলমান রয়েছে।