ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মাছ-মাংস খাওয়াকে বিধর্মীদের মতো আচরণ হিসেবে বিবেচনা করে ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৪ অগাস্ট থেকে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত মাছ মাংস খাওয়া এবং বিক্রির ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ৩৬৫ দিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত মহারাষ্ট্রের কল্যাণ-ডম্বিভলি মহানগর পালিকা বা কেডিএমসি রীতিমতো লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মাছ ও মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ অনুযায়ী, ১৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে ১৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সমস্ত কসাইখানা ও লাইসেন্সধারী ছাগল, ভেড়া, মুরগি ও বড় পশুর কসাই এবং মাংস বিক্রেতারা দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য থাকবেন। নির্দেশ লঙ্ঘন করলে মহারাষ্ট্র মিউনিসিপাল কর্পোরেশন আইন ১৯৪৯ অনুযায়ী কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
কেডিএমসি-র ডেপুটি কমিশনার (লাইসেন্স) যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, প্রশাসনিক রেজোলিউশন অনুযায়ী জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন মহারাষ্ট্রে ভাজপা নিয়ন্ত্রিত কেডিএমসি-র এই ফতোয়া জারির তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে ভাজপা বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল।
শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওহাদ কেডিএমসির এই ফতোয়ার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এটা কি ভারতীয় জনতা পার্টির বাপের রাজ্য? কে কি খাবে বা কখন খাবে? তা কি ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে ঠিক করতে হবে নাকি?
জিতেন্দ্র আওহাদ বলেন, তিনি সেদিন একটি মাটন পার্টির আয়োজন করবেন। তিনি বলেন, যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, সেদিন তোমরা আমাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো খাওয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছ। আমি সেদিন একটি মাটন পার্টির আয়োজন করার কথা ভাবছি।