একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতর ঢুকছে, বের হচ্ছে। মাইলস্টোনসহ আশপাশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এক অপরের হাত ধরে রাস্তা ফাঁকা রেখেছে, যাতে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি বাহন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। ওই শিক্ষার্থীদের একজন একাদশ শ্রেণির ছাত্র কাব্য। সে জানায়, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। তখন স্কুলের মাঠে অনেক শিক্ষার্থী ছিল।
বেলা সাড়ে তিনটা। মেয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকা মধ্যবয়সী এক নারী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আল্লাহ, তুমি আমার মেয়েটারে ফিরায়া দাও।’ পাশে দাঁড়ানো এক স্বজন জানান, তাঁর মেয়ে সুমাইয়া চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ছুটির পর মেয়েকে নিতে স্কুলের ফটকে অপেক্ষা করছিলেন। এর মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো মেয়ের খোঁজ পাননি। ভেতরে মেয়ের বাবা মেয়েকে খুঁজতে গেছেন।
এ সময় সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা মাইকে ঘোষণা দেন, আহতদের জন্য রক্তের প্রয়োজন। বিশেষ করে যাঁদের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ, তাঁদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়। অনেকেই সাড়া দিয়ে এগিয়ে যান। পরে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।