সেনাবাহিনীর দখলে সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ – DesheBideshe

সেনাবাহিনীর দখলে সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ – DesheBideshe


সেনাবাহিনীর দখলে সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ – DesheBideshe

খার্তুম, ২১ মার্চ – সুদানের সেনাবাহিনী খার্তুমে অবস্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) হটিয়ে ভবনটির দখল নেওয়ার এ ঘটনাকে উত্তর আফ্রিকার দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

সামরিক বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী এখন প্রাসাদের চারপাশে আরএসএফ সদস্যদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে। প্রাসাদ হাতছাড়া প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আরএসএফের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের এ সংঘাত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে বলে ভাষ্য জাতিসংঘের। তীব্র হতে থাকা এই মানবিক সংকট এরই মধ্যে একাধিক এলাকায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে, দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে অনেক প্রাণঘাতী রোগ।

সংঘাতে অংশ নেওয়া দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে। আরএসএফ কোথাও কোথাও গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। উভয় পক্ষই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও খার্তুমের বেশিরভাগ অংশই দখলে নিয়ে নিয়েছিল; কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাবাহিনী একের পর এলাকা পুনর্দখলে নেয় এবং নীলনদ সংশ্লিষ্ট প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে একটু একটু করে এগোতে থাকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আলাদা একটি সরকার গঠন করা আরএসএফ এখনও খার্তুমের বেশ কিছু অংশ, প্রতিবেশী ওমদুরমান ও পশ্চিম সুদানের অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তারা এখন দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ শক্তঘাঁটি আল-ফশিরের দখল পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর দখল পেলে সেনাবাহিনী সুদানের মধ্যাঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। উভয় বাহিনীই একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে, দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার কোনো উদ্যোগও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি।

বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া আগে আগে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘাত শুরু হয়।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ২১ মার্চ ২০২৫



Scroll to Top