মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলেছে বাংলাদেশ। অর্পিতা বিশ্বাসের দল নেপালের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ৩-০ গোলে। একটি করে গোল করেছেন ফরোয়ার্ড থুইনুয়ে মারমা, সুরভী আকন্দ প্রীতি ও রাবেয়া। তিন ম্যাচে লাল-সবুজদের এটি দ্বিতীয় জয়।
প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে জিতলেও গোল হাতছাড়ার মহড়ায় মেতেছিল বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষেও একই রকম করেছেন সুরভী-আলপিরা। প্রথমার্ধে গোলকিপারকে একা পাওয়া, ফাঁকা বারের বাইরে দিয়ে বল মারাসহ ছয়-সাতটি সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তারা। প্রথমার্ধের দুই গোলের পর রাবেয়ার আরেক গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর বাহিনী।
বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য আসতে সময় লাগে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এসময় লেফট উইঙ্গার মামোনি চাকমা উইং থেকে দুজনকে কাটিয়ে জোরাল শটে বল ফেলেন ডি বক্সে, কিছুটা জটলার পর বল পান থুইনুয়ে মারমা। জোরাল শটে টপকর্নার দিয়ে বল জালে জড়ান এ ফরোয়ার্ড, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
৪৫ মিনিটে সুরভী আকন্দ প্রীতি বাংলাদেশের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ডি বক্সের বাইরে থাকা বল নেপাল গোলকিপার ক্লিয়ার করতে যান। বল তার গায়ে লেগে কিছুটা সামনে চলে এলে নিয়ন্ত্রণ নেন সুরভী। ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে বল জালে জড়ান, ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০তে।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৯ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পায় নেপাল। বাংলাদেশ গোলকিপার ইয়ারজান বেগমকে একা পেলেও নেপালের দুই খেলোয়াড় ওয়ান টু ওয়ান পাসে গোল করতে পারেনি, বল ঠেকিয়ে দেন ইয়ারজান। ৬২ মিনিটে আলপি আক্তার সহজ সুযোগ পেয়ে অফসাইডে পড়েন।
৭৩ মিনিটে বাংলাদেশের ভুলে আরও একটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। ইয়ারজানের বুদ্ধিমত্তায় কোন বিপদ হয়নি। ৮০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া বল বারে মারেন সুরভী। চার মিনিট পর মাঝ মাঠ থেকে থুইনুয়ের জোরাল শট বারে লাগলে আবারও গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
শেষদিকে বাংলাদেশ আরও কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। নির্ধারিত সময় শেষের পর যোগ করা চারের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও বল বারে মারেন সুরভী, গোলবঞ্চিত হয় অর্পিতা বিশ্বাসের দল। পরের মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন রাবেয়া, ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই ব্যবধানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।