এদিকে সিলেটে ছাত্রদল নেতা খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেনও আদালত প্রাঙ্গণে মারধরের শিকার হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে আমির হোসেনকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বিক্ষোব্ধ লোকজন তাঁকে মারধর করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাজতে নিয়ে যান। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সেখান থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়।
সিলেটের বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, আমির হোসেনকে আদালতে পাঠানো হলে হামলার শিকার হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে পরবর্তী সময়ে আদালতে পাঠানো হবে।
২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। আমির হোসেন ওই মামলায় অভিযুক্ত আসামি। গত বুধবার রাতে সিলেট নগরের মিরের ময়দান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে সীমান্তে আটক হওয়ার পর সিলেটের আদালতে তোলার সময় গত ২৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
আদালতে আসামিদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) বিএম আশরাফ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে বাদী ও বিবাদীসহ বিচারপ্রার্থী যারা আসেন তাদের নিরাপত্তা দিতে মহানগর পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটান সে ব্যাপারে আদালত প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।