বলা হয়ে থাকে, প্রসবযন্ত্রণার চেয়ে তীব্র ব্যথা আর নেই। তবে প্রতিটি মাতৃত্বের গল্পই আলাদা। একজন নারী দুবার সন্তান প্রসব করলে তাঁর নিজেরই দুই রকম অভিজ্ঞতা হতে পারে। একজনের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা তাই অন্যজনের সঙ্গে মেলে না। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হলে প্রসবযন্ত্রণা পোহাতে হয় না ঠিক, তবে অপারেশন–পরবর্তী ঝক্কিও কিন্তু কম নয়।
সন্তান প্রাকৃতিক নিয়মে জন্ম নেবে, এটাই স্বাভাবিকতা। তবে মা ও তাঁর সন্তানের কল্যাণের জন্য একজন চিকিৎসককে কখনো কখনো সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আবার প্রসবযন্ত্রণা এড়ানোর জন্য কোনো কোনো মা নিজ ইচ্ছাতেও সিজারিয়ান অপারেশন করাতে চান। আদতেই কি এটা স্বাভাবিক প্রসবের চেয়ে সুবিধাজনক?
স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. আনিকা তাবাস্সুম বলেন, ‘মা ও তাঁর গর্ভের সন্তানের কোনো শারীরিক অসুবিধা না থাকলে স্বাভাবিক প্রসবের পরিকল্পনাই করা উচিত। একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিক প্রসব নিরাপদ। তবে প্রসবের সময় যেকোনো বিপদচিহ্ন দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। প্রসবযন্ত্রণা এড়ানোর জন্য সিজারিয়ান অপারেশনকে একটি বিকল্প উপায় ভেবে নেওয়া উচিত নয়। বরং ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসবের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।’