সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আটক – DesheBideshe

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আটক – DesheBideshe


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আটক – DesheBideshe

ঢাকা, ২২ জুন – সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে দুপুরে কে. এম. নুরুল হুদাকে আসামী করে মামলা করেছে বিএনপি। তার সঙ্গে আরও আসামী করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের সাবেক ৪ আইজিপিও। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, তৎকালীন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার।

সাবেক ডিজি র‍্যাব ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান (নাম অজ্ঞাত), সাবেক এনএসআই প্রধান ও সাবেক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন ও আনিছুর রহমান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন, অভিযোগকারীর দৃষ্টিতে তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করেন এবং জনগণের ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী করেন। এই কাজগুলো দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোট পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য, বিভিন্ন সংস্থার এন এস আই, ডিজিএফআই, এসবি প্রধানসহ আসামিরা সম্মিলিতভাবে প্রশাসনিক নির্বাচন করেছেন। দিনের ভোট রাতে করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন শেখ হাসিনা। তাই তিনিসহ ২৪ জনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের সংবিধান লঙ্ঘনের দায় এবং অপরাধ করার দায়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রের মাধ্যমে ২০১৮ সালেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলাম। সে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ২২ জুন ২০২৫



Scroll to Top