সাফজয়ী সাবিনাদের হাতে একুশে পদক

সাফজয়ী সাবিনাদের হাতে একুশে পদক

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫০ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৫

২০২৪ সালের অক্টোবরে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে এবার নারী ফুটবলারদের হাতে উঠল দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে দলের প্রতিনিধি হিসেবে এই পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। তখন তাদের সাথে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাফজয়ী স্কোয়াডের বাকি ফুটবলাররাও।

প্রথমে কেবল সাফজয়ী দলের ১১ জন ফুটবলারকে পদক গ্রহণের আমন্ত্রণ জানায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু কারা হবেন সেই ১১ জন, এ নিয়ে বাধে বিপত্তি। বাফুফে থেকেও চিঠি পাঠানো হয় পুরো স্কোয়াডের ৩২ জন সদস্যের নাম উল্লেখ করে। বাফুফের সেই চিঠি চালাচালির পর সাফ জয়ী দলের সবার হাতেই পুরস্কার তুলে দিতে সম্মত হয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গত (মঙ্গলবার) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেকের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে পদক গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  সেই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘দলের পক্ষে একজন মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে পদক গ্রহণের জন্য সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ২০২৪ এর দলনেতার নাম ও একজন বিকল্প খেলোয়াড়ের নাম’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়টি। দলের বাকিরা মঞ্চে উঠতে পারবেন না, তবে পুরো দলই আমন্ত্রিত একুশে পদকের অনুষ্ঠানে।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আগে কোনো ক্রীড়া দল একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে বিসিবি ২০০১ সালে পেয়েছিল স্বাধীনতা পদক। একই পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন করেও পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

সারাবাংলা/জেটি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাফুফে
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
সাবিনা খাতুন

Scroll to Top