সাদমান-মিরাজের সেঞ্চুরি, ২১৭ লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ | চ্যানেল আই অনলাইন

সাদমান-মিরাজের সেঞ্চুরি, ২১৭ লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

চট্টগ্রাম থেকে: তাইজুলের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে ধরাশায়ী করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট হাতে অনবদ্য সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সাদমান দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় দিনে চাপের মুখে সেঞ্চুরি করেন মেহেদী হাসান মিরাজও। বাংলাদেশকে এনে দেন ২১৭ রানের লিড।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে জিম্বাবুয়ে। ২২৭ রানে রোডেশিয়ানদের প্রথম ইনিংস থামে। জবাবে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টিম টাইগার্স। তৃতীয় দিনে আলো ছড়ান মিরাজ-তানজিম। প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

২৯১ রানে ৭ উইকেট, ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল। তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালো এনে দেন দুজনে। ৫১ রান যোগ করেন তাইজুল-মিরাজ। দলীয় ৩৪২ রানে তাইজুল ফিরে গেলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। পরে তানজিম সাকিবকে নিয়ে ৯৬ রানের দুর্দান্ত জুটিতে বাংলাদেশের লিড দুইশ পার করেন মিরাজ।

দলীয় ৪৩৮ রানে তানজিম ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। অভিষিক্ত তরুণ ৮০ বলে ৪১ রান করেন। ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কার মার। পরে হাসান মাহমুদকে নিয়ে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ। ২০২১ সালে এই মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

পরে মাসেকেসার পঞ্চম শিকার হয়ে ফিরে যান মিরাজ। ৪৪৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ১১টি চার ও ১ ছক্কায় ১৬২ বলে ১০৪ রান করেন মিরাজ।

এর আগে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেন সাদমান ইসলাম। ১২০ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। সাদমানেরও দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিম ৪০ রান, এনামুল হক বিজয় ৩৯ রান এবং মুমিনুল হক ৩৩ রান করেছেন।

রোডেশিয়ানদের হয়ে অভিষিক্ত ভিনসেন্ট মাসেকেসা ৫ উইকেট নেন। ব্রায়ান বেনেট, ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ওয়েসলি মাধেভেরে একটি করে উইকেট নেন।

Scroll to Top