সাকিব-হৃদয় আর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

সাকিব-হৃদয় আর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
সাকিব-হৃদয় আর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা বাংলাদেশের টপ অর্ডার এদিনও ছিল ব্যর্থ। তবে সাকিব-হৃদয় জুটি বাংলাদেশকে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দিশা দেখিয়েছে। সাকিব যদিও নিজের দশম সেঞ্চুরি পূরণ করতে পারেননি। কিন্তু শেষদিকে নাসুম ও মেহেদীর দায়িত্বশীল ইনিংসে বাংলাদেশ লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায়। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান।

আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। ভারত ইতোমধ্যে ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই একাদশে পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক। অবশ্য বাংলাদেশের একাদশেও এদিন পরিবর্তন চোখে পড়েছে। দুই দলই ৫ টি করে পরিবর্তন নিয়ে কলম্বোর প্রেমাদাসায় নেমেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের টস-ভাগ্য এদিন পক্ষে ছিল না। ওদিকে রোহিত শর্মা টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালেন।

বাংলাদেশের পক্ষে লিটন দাসের সাথে ব্যাটে দেখা যায় তানজিদ হাসান তামিমকে। যিনি এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। তামিম শুরুটা ভালোই করেন। গ্যাপ খুঁজে বাউন্ডারি বের করছিলেন। ওদিকে লিটন কিছুই করতে পারেননি। মোহাম্মদ শামির বলে সরাসরি বোল্ড হওয়া ছাড়া।

তামিম অবশ্য ভাল শুরুর সুবিচার করেননি। শার্দুল ঠাকুরের শর্ট লেংথ বলে ইনসাইড হয়ে বোল্ড হয়েছেন। ৩ চারে ১৩ রান যার সম্বল। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ৩ নম্বরে নেমে একটি বাউন্ডারি-ই হাঁকিয়েছেন। ১১ বলে ৪ রান করে ঠাকুরের বলে টপ এজে ধরা পড়েছেন লোকেশ রাহুলের তালুতে।

মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন তাওহিদ হৃদয়ের আগেই নামলেন। ২৮ বলে ১৩ রান করে স্লিপে ক্যাচ তুলেছেন। বলার মতো পারফর্ম করেছেন শুধু অধিনায়ক সাকিব, সাথে হৃদয়। দুজন মিলে গড়ে তুলেছিলেন চমৎকার এক জুটি। বরারবরের মতো বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এমন জুটি প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঠাকুরের ওভারে ৮৫ বলে ৮০ রান করা সাকিব বোল্ড হন। ৬ টি চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।

ভেঙ্গে যায় ১০১ রানের জুটি। শামীম হোসেন এসে শুধু ৫ বল মোকাবিলার সুযোগ পেয়েছেন। জাদেজার বলেই ১ রান করে লেগ বিফোরের শিকার হয়েছেন। এদিন শেখ মেহেদী’র আগে ব্যাটিংয়ে দেখা যায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে। হৃদয়কে যোগ্য সমর্থন দিলেন নাসুম। দুজনের জুটি দেখা গেল ৩২ রানের।

হৃদয় নিজের উইকেট হারালেন শামির বলে। ৮১ বলে খেললেন ৫৪ রানের ইনিংস। তবে নাসুম বেশ মুগ্ধ ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন। হৃদয় যতক্ষন ছিলেন, হৃদয়ের সাথে। পরবর্তীতে শেখ মেহেদীর সাথে। মেহেদীর সাথে ৪৫ রানের জুটি যেমন অর্ধশতক ছুঁতে পারেনি। নাসুম নিজেও খুব দুর্ভাগ্যজনক আউট হয়ে নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক ছুঁতে পারেননি। ফিরেছেন ৪৫ বলে ৪৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন মেহেদী। করেছেন অপরাজিত ২৩ বলে ২৯ রান। সাথে অভিষিক্ত তানজিম সাকিব বেশ ভাল সঙ্গ দিয়েছেন, খেলেছেন ৮ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।

ভারতীয় বোলারদের পক্ষে, শার্দুল ঠাকুর নিয়েছেন ৩ উইকেট, মোহাম্মদ শামি ২ টি। প্রসিদ কৃষ্ণা, রবীন্দ্র জাদেজা, আক্সার প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।

Scroll to Top