শুধু সাইফের বাড়ি নয়, পুরো বান্দ্রাকেই অরক্ষিত আর অনিরাপদ মনে করছেন বলিউড তারকারা। বুধবার মধ্যরাতের এমন আক্রমণের পর কারিনাও আর সাহস পাচ্ছেন না সাইফ আলীর বাড়ি ফিরে যেতে! তাইতো তিনি দুই সন্তান তৈমুর ও জেহকে নিয়ে উঠেছেন বড় বোন কারিশমা কাপুরের লোখান্ডওয়ালার বাড়িতে!
বান্দ্রা এলাকায় একের পর এক বলিউড তারকার বাংলোয় হামলা। দুষ্কৃতীকারীদের এহেন দৌড়াত্ম্যে কাঠগড়ায় মুম্বাই প্রশাসন। গত বছরই সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে বিষ্ণোই গ্যাং গুলিবর্ষণ করে। এবার বছরের গোড়াতেই পতৌদিদের বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ বাংলোয় ঢুকে খোদ সাইফ আলীর উপর এলোপাথারি ছুরির কোপ দুষ্কৃতীকারীর। বান্দ্রা কি একেবারেই নিরাপদ নয়?
প্রশ্ন উঠেছে তারকামহলে। গর্জে উঠেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, ইমতিয়াজ আলি-সহ একাধিক তারকা। এদিকে ঘটনার জেরে বিটাউনেও আতঙ্কের ছায়া। যেহেতু ঘটনাটি নিজেদের সাথেই ঘটেছে, স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক অন্য যে কারো চেয়ে কয়েক গুণ। তাই দুই সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কারিনা। সে কারণে বোন কারিশমা কাপুরের বাড়িতে রয়েছেন কারিনা।
বৃহস্পতিবার সাইফ আলীর অস্ত্রোপচারের আগেই হাসপাতালে পৌঁছায় পুরো নবাব পরিবার। সাইফের আগের তরফের দুই সন্তান সারা আলী এবং ইব্রাহিম তো ছিলোই; সেই সাথে হাসপাতালে দেখা যায় বোন-জামাই সোহা এবং কুণাল খেমুকেও।

এদিকে ‘জামাইবাবু’র উপর হামলার খবর পেয়ে এদিন সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে যান রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটরা। কারিশমা তো সেখানেই ছিলেন বোনের পাশে। জানা গেছে, অস্ত্রোপচারের পর দুই সন্তান জেহ এবং তৈমুরকে নিয়ে কারিশমার লোখান্ডওয়ালার বাড়িতে চলে যান কারিনা।

বিটাউনের তারকারাও আপাতত খোঁজ খবর নিতে যাচ্ছেন কারিশমার বাড়িতেই। করণ জোহর, সঞ্জয় দত্ত, মালাইকা অরোরাকে দেখা যায় কারিশমার বাড়িতে। কারিনার প্রিয় বন্ধু অমৃতা অরোরা পৌঁছান স্বামী শাকিল লাদাককে নিয়ে। কাপুর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সঞ্জয় দত্তের। সাইফের উপর হামলার ঘটনায় বিচলিত তিনিও।
এদিকে সাইফের উপর হামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলেন কারিনা কাপুর। এসময় তিনি অনুরাগী এবং পাপারাৎজিদের কাছে ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ না করার অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার সারাদিন কারিনা ছিলেন হাসপাতালে। পুরো দিন কেটেছে দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগে। রাতের দিকে সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, ‘আজকের দিনটা আমাদের কাছে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনও গোটা ঘটনার রেশ বোঝার চেষ্টা করে চলেছি। সংবাদমাধ্যম ও পাপারাৎজির কাছে আমাদের অনুরোধ, দয়া করে মনগড়া খবর, গুজব ছড়াবেন না।’
বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের পর সাইফকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলেই জানা গেছে। এমনকি শুক্রবারই আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে সাইফকে স্থানান্তর করা হতে পারে।
অন্যদিকে সাইফের উপর আক্রমণকারী সন্দেহভাজনকে ধরেছে মুম্বাই পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।