জুমবাংলা ডেস্ক : সাংবাদিককে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) এ.কে.এম দিদারুল আলমকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা) মো. আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। দিদারুল আলমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রংপুরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে অবিলম্বে বর্তমান কর্মস্থল ছেড়ে ১৮ মার্চের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মাসুদ হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এডি দিদারুল আলমকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ কক্সবাজারের ঝিলংজার বাংলাবাজার এলাকার এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টিম আটক করে। সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেল অটোচালকের বউয়ের অনুরোধে মাদক টিমকে ফোন করে আটকের কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এডি দিদারুল আলম সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
এরপর পেটে ইয়াবা নিয়ে এক যুবককে এনে সাংবাদিক রাসেলের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করা হলে, কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা মাদক কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। আটক যুবক সাংবাদিক রাসেলের নামপরিচয় দিতে ব্যর্থ হন এবং তার সঙ্গে কখনো কথা হয়নি বলে স্বীকার করেন।
এই ঘটনায় ১০ মার্চ সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে দিদারুলের অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর দিদারুল আলমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে।