চীনের স্কুলপড়ুয়া ১২ বর্ষী ইউ জিদি এখন ইতিহাসের সবচেয়ে কমবয়সী পদকজয়ী সাঁতারু। সিঙ্গাপুরে বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৮০০ মিটার রিলেতে চীন ব্রোঞ্চ জিতেছে। সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার পর চীন তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সেই পদক আনতে ভূমিকা রাখেন জিদি।
জিদি বৃহস্পতিবার ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের ফাইনালে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত পদক জেতার এতো কাছে এসেও সুযোগ হাতছাড়া হয় তার। সোমবার মেডেলি সাঁতারেও তিনি পদক পাননি। চতুর্থ হয়ে শেষ করেন ব্যক্তিগত মেডেলি।
জিদি পরে বলেছেন, ‘এমন পদক জয় খুবই ভালো অনুভূতি। আমার কাছে বেশ আবেগের।’
জিদি চলতি বছরের মেতে ১২ বছর বয়সে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডেলিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এজন্য তাকে ‘সেনসেশন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। ১৯৩৬ অলিম্পিকে ডেনমার্কের ইঙ্গে সোরসেন ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে জিতেছিলেন সবচেয়ে কমবয়সে পদক, ব্রোঞ্চ এনেছিলেন তিনি।
বিশ্বচ্যম্পিয়নশিপে জিদির অংশগ্রহণ নিয়ে মতোবিরোধ চলছে। ‘এ’ মানদণ্ড পূরণ করাতে ১৪ বছর বয়সের আগেই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সুযোগ পান জিদি। তার সাঁতারে দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও বিশ্বমঞ্চে অংশ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
চারবারের বিশ্বচ্যম্পিয়ন সাবেক সাঁতারু কারেন পিকারিং বলেছেন, ‘এতো কমবয়সে সাঁতারের এসব ইভেন্টগুলোতে তার অংশগ্রহণ আমাকে অবাক করছে। তেমনি কিছুটা প্রশ্ন জাগে সে কতটা কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।’
অলিম্পিক ব্রোঞ্চজয়ী সাবেক ইংলিশ সাঁতারু স্টিভ প্যারি বলেছেন, ‘জিদি যে ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তা তাকে শারীরিকভাবে কতোটুকু শক্তিশালী করেছে দেখতে হবে, আমরা দেখেছি যারা অল্পবয়সী জিমন্যাস্টদের উপর চাপ প্রয়োগ করেন, তারা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যায় ভোগেন।’